চিত্রে সেন্ট্রিফিউগাল পাম্পের গঠন দেখানো হয়েছে। সেন্ট্রিফিউগাল পাম্প যে সব যন্ত্রাংশের সমন্বয়ে পঠিত তাদের নাম নিচে দেওয়া হলো
ক) কেসিং বা ভলিউট কেসিং (Volute Casing)
খ) স্পোর (Impeller)
গ)ভেন (Vane)
ঘ) শ্যাফট (Shaft)
ঙ) গ্র্যান্ড প্যাকিং (Gland Packing)
চ) বিয়ারিং (Bearing)
ছ) সাকশন সাইড (Suction Side)
জ) ডেলিভারি সাইড (Delivery Side)
ঝ) পেডেস্টাল (Pedestal)
সেন্ট্রিফিউগ্যাল পাম্পের কার্য প্রণালি (Working Princple of Centrifugal Pump)
সেন্ট্রিফিউগ্যাল পাম্পের মূল কার্যপদ্ধতি হচ্ছে নিম্নচাপ বা ণাত্মক চাপ (Negative Pressure) এর মাধ্যমে পানিকে টেনে তোলা। এ জন্য সেন্ট্রিফিউগাল পাম্প চালু করার আগে তার মধ্যে পানি বা তরল পদার্থ দিয়ে পূর্ণ করে রাখতে হয়। ইঞ্জিন চালু করলে পাম্পের ভিতরের গুলিউট চেম্বারে ইম্পেলারের মধ্যে অবস্থিত ভেইনগুলো সম্মোরে ঘুরতে থাকে। ভেইনগুলোর সবেগে ঘুর্ণনের ফলে গুলিউট চেম্বারে সেন্ট্রিফিউগাল কোর্স বা কেন্দ্রাতিগ বল তৈরি হয়। ফলে ভলিউট চেম্বারে পিছন দিকে সাকশন লাইনে বায়ু শুণ্যতা বা নিচাপ বা ঋণাত্মক চাপ (Negative Pressure) এর সৃষ্টি হয়। এর ফলে সাকশন লাইনের পানি ভলিউট চেম্বারে ঢোকে এবং ইম্পেলারের ঘূর্ণন গতির ফলে ডেলিভারি পাইপ দিয়ে পানি বাইরে বের হয়ে আসে। এভাবে একটা সেন্ট্রিফিউগাল পাম্প সেন্ট্রিফিউগাল ফোর্সের সাহায্যে পানি উত্তোলন করে থাকে ।
ক) ভলিউট কেসিং (Volute Casing)
পাম্পের যে অংশের মধ্যে ইমপেলারের সাহায্যে সেন্ট্রিফিউগাল ফোর্স সৃষ্টি করে পানি উঠানো হয় সেই অংশকেই পাম্প কেসিং বলা হয়। একে ভলিউট কেসিং বা ভলিউট চেম্বার অথবা শুধু ভলিউটাও বলা হয়ে থাকে। ভলিউট কেসিং এক পাশে আড়াআড়ি ভাবে সাকশন পাইপের সাথে যুক্ত থাকে। অন্য দিকে নির্গম মুখটি ডেলিভারি পাইপের সাথে সংযুক্ত থাকে। ভলিউট কেসিং যুক্ত পাম্পকে ভলিউট পাম্প বলা হয়। কোনো কোনো পাম্পের ভলিউটের ভিতরে স্থির কতগুলো ভেইন থাকে। এ ধরনের ভেইনকে ডিফিউজার ভেইন বলা হয়। এ সকল ডিফিউজার ভেইনযুক্ত পাম্পকে ডিফিউজার পাম্প বলে ।
খ) ইম্পেলার (Impeller) :
সেন্ট্রিফিউগাল পাম্পের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হচ্ছে ইস্পেলার। ডব্লিউট কেসিং-এর মধ্যে ইম্পেলার অবস্থিত থাকে। একটা পাম্পে এক বা একাধিক ইম্পেলার থাকতে পারে। একটা মাত্র ইম্পেলার বিশিষ্ট পাম্পকে এক স্তর বিশিষ্ট পাম্প বা 'সিঙ্গল স্টেজ পাম্প' বলে। দুটি ইম্পেলার বিশিষ্ট পাম্পকে টু-স্টেজ পাম্প বলে এবং তিন ইম্পেলার বিশিষ্ট পাম্পকে থ্রি-স্টেজ গাম্প বলে। এর অধিক সংখ্যক ইম্পেলার বিশিষ্ট পাম্পকে মাল্টি-স্টেজ পাম্প বলা হয়।
এক দিকে বাঁকনো কতগুলো ধাতব পাতের সমন্বয়ে ইম্পেলার গঠিত। ইম্পেলার সাধারণত তিন প্রকার হয়ে থাকে। যথা-
১. খোলা ইম্পেলার
২. অর্ধ-খোলা ইম্পেলার
৩. বন্ধ ইম্পেলার
গ) শ্যাফট (Shaft)
পাম্পের মধ্যে অক্ষরেখা বরাবর একটা করে শ্যাফট লাগানো থাকে। শ্যাফটের মাধ্য ইমপেলারের কেন্দ্রস্থলে সংযুক্ত থাকে। শ্যাফটের বাইরের মাথা ইঞ্জিন অথবা মোটরের সাথে কাপলিং বা যুক্ত করা থাকে।
ইঞ্জিন অথবা মোটরের ঘূর্ণনের সাথে সাথে শ্যাফট ঘুরতে থাকে এবং তার সাথে যুক্ত ইম্পেলারকে ঘোরায়। ইম্পেলার ঘোরার কারণেই পাম্পের মধ্যে সেন্ট্রিফিউগাল ফোর্সের সৃষ্টি হয় এবং পাম্প পানি উত্তোলন করতে সক্ষম হয়।